অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি কি ভাবে করতে হয় জেনে নি
বর্তমান সময়ে আমরা যারা মোটামুটি অনলাইন এর সাথে যুক্ত আছি তারা সবাই জানি এফিলেট মার্কেটিং কি কিন্তু অনেকেই আবার জানিনা মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় আজকে আমরা এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়।
আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মন দিয়ে পড়ুন আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে আয়ের অনলাইনে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হলো এফিলেট মার্কেটিং পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে এসিলেট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করতেছে তাহলে আপনি আমি কেন পারব না আজকে এফিলেট মার্কেটিং এর দিকনির্দেশনা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করব আশা করি আপনি পুরো আর্টিকেলটি পড়লে
আপনিও শিখে যাবেন এফিলেট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় আজকে আমরা জানবো। এফিলিট মার্কেটিং কি। কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। এফিলেট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়। এভিলেট মার্কেটিং এর প্লাটফর্ম। অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা। সব বিষয়ে জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন করুন কোন অংশে মিস করলে অনেক কিছু থেকেই মিস করবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি কি ভাবে করতে হয় জেনে নি
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি তা জানার আগে আমাদের জানা দরকার যে এটি কীভাবে কাজ করে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল উপাদান হলো এফিলিয়েট লিঙ্ক। এফিলিয়েট লিঙ্ক হলো এমন একটি লিঙ্ক যা কোনো একটি পণ্য বা সেবার ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় এবং এই লিঙ্কের মাধ্যমে যদি কেউ সেই পণ্য বা সেবা কিনে তবে লিঙ্কটি প্রদান করে যে ব্যক্তি বা
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিতে হবে। এফিলিয়েট প্রোগ্রাম হলো এমন একটি প্রোগ্রাম যেটি কোনো একটি কোম্পানি বা ব্র্যান্ড চালায় যাতে তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রি বাড়ানোর জন্য এফিলিয়েট মার্কেটারদের সাহায্য নিয়ে থাকে। এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিলে আপনি একটি এফিলিয়েট আইডি পাবেন যা আপনার এফিলিয়েট লিঙ্ক তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এফিলিয়েট লিঙ্ক তৈরি করার পর আপনাকে এই লিঙ্কটি যেখানে যেখানে সম্ভব প্রচার করতে হবে। আপনি এই লিঙ্কটি আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব, ইমেল মার্কেটিং ইত্যাদি মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। আপনার লক্ষ্য হবে যত বেশি মানুষকে আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা কিনতে উৎসাহিত করা। যখন কেউ আপনার
লিঙ্কে ক্লিক করে কোনো পণ্য বা সেবা কিনবে তখন আপনি কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি কমিশন পাবেন। কমিশনের হার পণ্য বা সেবার ধরণের উপর নির্ভর করে। কিছু কোম্পানি ফ্ল্যাট রেট দেয় যেমন ১০০ টাকা প্রতি বিক্রি, কিছু কোম্পানি পারসেন্টেজ দেয় যেমন ১০% প্রতি বিক্রি।
এফিলেট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় বিস্তারিত জেনে নিন
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায় এই প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করার পরিমাণ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যেমন, আপনি কোন নিচে কাজ করছেন, আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজের কোয়ালিটি এবং ট্রাফিক কেমন, আপনি কোন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম
বা নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হয়েছেন, আপনি কত দামি পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করছেন, আপনার কনভার্শন রেট কত ইত্যাদি। আপনি যদি সঠিক পণ্য সঠিকভাবে সঠিক কাস্টমারের কাছে মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে আপনি মাসে প্রতি মাসে ভালো একটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা
ডিপেন্ড করবে একমাত্র আপনার উপরে আপনি মার্কেটিং এ কতটা দক্ষতা রাখেন কতটা সময় দিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার আয় নির্ভর করবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা জেনে নিন
অ্যামাজন হল বিশ্বের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ লোক কারণ এটি একটি বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম আমরা amazon এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কিছু সুবিধা জেনে নিব।আমার কাছে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার
জন্য কিছু তথ্য আছে। আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি অনলাইন ব্যবসার পদ্ধতি, যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আমাজনের পণ্য বা প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে পারেন
করতে পারেন। আপনার যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে যদি কেউ আমাজন থেকে কোনো পণ্য কিনেন বা কোনো প্রোগ্রামে যোগ দেন, তবে আপনি কমিশন আয় করতে পারেন।
- আপনার কোনো বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন নেই।
- ব্লগিং থেকে বেশি টাকা আয়ের সম্ভাবনা আছে।
- অনেকগুলো এফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালনা ও প্রচার করা খুব সহজ।
- এটি একটি কম খরচের ব্যবসার সুযোগ।
- আপনি আপনার সময় ও কাজের ধরন নির্বাচন করতে পারেন।
বাংলাদেশের এফিলেট মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম গুলো জেনে নীল
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি অনলাইন ব্যবসার পদ্ধতি, যেখানে আপনি অন্য কোম্পানির বা ব্যক্তির পণ্য বা সেবা প্রচার করে বিক্রয় করতে পারেন এবং প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য একটি কমিশন পান। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থাকতে হবে, যেমন ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ইত্যাদি।
বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কিছু জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেমন:
[দারাজ](^1^): এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং মল, যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। দারাজের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে আপনি প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য ১০% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন।
[বহুব্রীহি]: এটি একটি অনলাইন কোর্স প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে এবং শেখাতে পারেন। বহুব্রীহির এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে আপনি প্রতিটি কোর্স বিক্রয়ের জন্য ২০% কমিশন পেতে পারেন।
[বিডিশপ](^2^): এটি আরেকটি অনলাইন শপিং মল, যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। বিডিশপের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে আপনি প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য ৫% কমিশন পেতে পারেন।
[ডায়ানাহোস্ট]: এটি একটি ওয়েব হোস্টিং প্রদায়ক প্রতিষ্ঠান, যেখানে আপনি ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারেন। ডায়ানাহোস্টের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে আপনি প্রতিটি হোস্টিং প্যাকেজ বিক্রয়ের জন্য ১০% কমিশন পেতে পারেন।
এছাড়াও আপনি আরও কিছু প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন, যেমন [শিখো], [ফুডপান্ডা], [শপনোবারী] ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে আপনি যেটা বেছে নিতে চান তা নির্বাচন করে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারেন।
শেষ কথা ঃ আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি এফিলেট মার্কিন টিম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন অনেক ধারণা হয়েছে যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে আপনার আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করে দিন।