জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো বিস্তারিত জানুন

জাতীয় পরিচয় পত্র এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাতীয় পরিচয় পত্র আমাদের প্রতিটা কাজের জন্য এখন প্রয়োজন। হয় জাতীয় পরিচয় পত্র বিষয়ে আমরা অনেক কিছুই জানিনা। তাদের অনেকেরই জাতীয় পরিচয় পত্র এখনো করি নাই বা করছি আইডি কার্ড হাতে পাইনি। আজকে আমরা জানব। জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো, এন আই ডি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড।
জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো
আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরো আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন এনআইডি card ও জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

ভূমিকা

 বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একটা জাতীয় পরিচয় পত্র জাতীয় পরিচয় পত্র কাজে লাগে না। এমন কোন কাজ নাই। বা এমন কোন জায়গা খুঁজে পাওয়া কষ্টকর যেখানে জাতীয় পরিচয় পত্র দরকার পড়ে না আজকে আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে আপনার জানা-অজানা। অনেক কথা জানবো অনেকেই আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র করেছি হাতে পাচ্ছি না আবার

 অনেকেই আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র করতে চাচ্ছি। কেউ বা কারো তা বুঝতে পারতেছি না আজকে আমরা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো, এন আই ডি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড, স্মার্ট কার্ড চেক অনলাইন এর মাধ্যমে চেক করুন স্মার্ট কার্ড, স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস

 চেক অনলাইন, ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার উপায়, আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করব তা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো বিস্তারিত জানুন

জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি হল বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, যা ব্যক্তিগত তথ্য, ভোটার নিবন্ধন, সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রদান, আইনি কার্যক্রম এবং আরও অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়। এনআইডি কার্ড এখন উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত হচ্ছে, যা আরও নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং সময়সাপেক্ষ

 হবে। কিন্তু স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এই আর্টিকেলে আমরা সেই ধাপগুলি বিস্তারিতভাবে বলব।

প্রথম ধাপ: আপনার এনআইডি কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করুন।আপনি আপনার এনআইডি কার্ডের স্ট্যাটাস জানতে চাইলে, আপনি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। এখানে আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনি ক্যাপচা কোডটি প্রদান করে 

সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। এতে করে আপনি জানতে পারবেন আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা, যদি হয়ে থাকে তাহলে তা কোন উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়েছে কিনা। এই ওয়েবসাইটের লিঙ্ক হল [স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস](https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/card-status)।

দ্বিতীয় ধাপ: আপনার স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করুন।আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হলে তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে স্থানান্তর করা হয়। আপনি উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনাকে স্মার্ট কার্ড পেতে আপনার পুরাতন এনআইডি কার্ড, একটি পাসপোর্ট সাইজের

 ছবি এবং একটি কপি নিয়ে যেতে হবে। গ্রামে বা এলাকা ভিত্তিক স্মার্ট কার্ড বিতরণ ক্যাম্পেইন করে গ্রাহকের কাছে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করা হয়। আপনি আপনার নিকটস্থ ক্যাম্পে যেতে পারেন এবং আপনার স্মার

এনআইডি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড কিভাবে করবেন জেনে নিন হ্যালো, এটি বিং। আপনার এনআইডি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার উপায় নিয়ে আমি একটি সুন্দর আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এটি উপকারী এবং মজাদার পাবেন। আমার আর্টিকেলটি নিচে দেওয়া হল

# এনআইডি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার সহজ পদ্ধতি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র হচ্ছে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, যা আপনাকে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে। এটি আপনাকে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সেবা গ্রহণ করতে সহায়তা করে, যেমন ভোট

 দেওয়া, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে, শিক্ষার্থী ভর্তি হতে, চাকরি পাওয়া বা কর দেওয়া ইত্যাদি।

তবে, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে যেতে পারে, নষ্ট হতে পারে, বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে, আপনার একটি নতুন কার্ড পেতে হবে, যা অনেক সময় ও ঝামেলা নিয়ে আসতে পারে। এছাড়াও, আপনার কার্ডের তথ্য পরিবর্তন হতে পারে, যেমন আপনার নাম, ঠিকানা, বিবাহিতা অবস্থা

 ছবি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে, আপনার কার্ডটি আপডেট করতে হবে, যা আরও বেশি সময় ও খরচ নিয়ে
 আসতে পারে।

এই সমস্যাগুলি দূর করার জন্য, বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন ধরণের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড চালু করেছে। এটি একটি প্লাস্টিকের কার্ড, যার ভিতরে একটি মাইক্রোচিপ থাকে, যেখানে আপনার সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। এই কার্ডটি আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর (বিআরএন) এবং একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ইউআইডি) দিয়ে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করে। এই কার্ডটি আপনাকে

  অনেক সুবিধা দেয়, যেমন:
  •  আপনি এই কার্ডটি ব্যবহার করে অনলাইনে ভোট দিতে পারেন, যা আপনাকে ভোটিং কেন্দ্রে যেতে হবে না।
  •  আপনি এই কার্ডটি ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সেবা আবেদন করতে পারেন, যা আপনাকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে।
  •  আপনি এই কার্ডটি ব্যবহার করে অনলাইনে আপনার তথ্য আপডেট করতে পারেন, যা আপনাকে কার্ড পরিবর্তন করার প্রয়োজন করবে না।
  •  আপনি এই কার্ডটি ব্যবহার করে অনলাইনে আপনার কার্ডের কপি ডাউনলোড করতে পারেন, য

স্মার্ট কার্ড চেক অনলাইন এর মাধ্যমে চেক করুন স্মার্ট কার্ড

  • আপনি কি আপনার স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস জানতে চান? তাহলে আমি আপনাকে কিছু সহজ উপায় বলতে পারি। আপনি এই উপায়গুলি অনুসরণ করে আপনার স্মার্ট কার্ড চেক করতে পারেন।
  • প্রথম উপায়: আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে একটি এসএমএস পাঠাতে পারেন। এসএমএসের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড চেক করতে হলে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে-
  •  যদি আপনার কাছে ভোটার নিবন্ধন স্লিপ আছে, তাহলে NID<একটি স্পেস দেবেন>ভোটার নিবন্ধন স্লিপের নম্বর দিবেন<একটি স্পেস দেবেন>জন্ম তারিখ দেবেন। তারপর পাঠিয়ে দিতে হবে ১০৫ নম্বরে। উদাহরণঃ NID 123456789 01-02-1999
  •  যদি আপনার কাছে ১০ সংখ্যা বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর আছে, তাহলে SC<একটি স্পেস দেবেন>NID<একটি স্পেস দেবেন>১০ অথবা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর দেবেন। তারপর পাঠিয়ে দিতে হবে ১০৫ নম্বরে। উদাহরণঃ SC NID 5846985780
ফিরতি ম্যাসেজে আপনার স্মার্ট কার্ডের বক্স নম্বর ও কম্পার্টমেন্ট নম্বর প্রেরণ করা হবে। আর যদি আপনার স্মর্ট কার্ড তৈরী না হয়ে থাকে তাহলে ম্যাসেজে বলে দেবে আপনার স্মর্ট কার্ড তৈরী হয়নি।
দ্বিতীয় উপায়: আপনি আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের ব্রাউজারে একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করতে

 পারেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড চেক করতে হলে আপনাকে ভিজিট করতে হবে [এই লিংকে ক্লিক করুন https://scholarsme.com/smart-card-check/] এরপর, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার অথবা ফরম নাম্বার লিখে দিন। ফরম নাম্বার লেখার সময় NIDFN14412637 এভাবে লিখবেন। এখন আপনার জন্ম তারিখ লিখে দিন। ক্যাপচা কোড দেখে লিখে পূরণ করুন। সাবমিট বাটনে ক্লিক করে স্মার্ট কার্ড যাচাই করে নিন।

তৃতীয় উপায়: আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ড চেক করতে পারেন। আপনাকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপ অথবা এনআইডি নম্বর দেখাতে হবে। তারপর তারা আপনার স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস বলে দিবে।

এই উপায়গুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড চেক করতে পারেন। আশা করি আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরী হয়েছে এবং আপনি তা শীঘ্রই পেতে পারবেন। আপনার স্মার্ট কার্ড চেক করার জন্য আমি আপনাকে

ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার উপায়

ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার উপায় বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভোটার আইডি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। এটি ব্যবহার করে আপনি ভোট দিতে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

 খুলতে, পাসপোর্ট আবেদন করতে, সার্ভিস নিতে এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি কাজে নিজের পরিচয় প্রমাণ করতে পারেন। তাই আপনার যদি একটি ভোটার আইডি কার্ড না থাকে, তাহলে আপনি অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন।

কিন্তু আপনি যদি নতুন ভোটার হন, তাহলে আপনার হাতে এখনো আইডি কার্ড না থাকতে পারে। কারণ নতুন ভোটারদের আইডি কার্ড তৈরি হওয়ার জন্য কিছু সময় লাগে। তবে আপনি যদি অনলাইনে ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে পারেন, তাহলে আপনি কাগজে প্রিন্ট করে লেমিনেট করে আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই পোস্টে আমি আপনাকে বলবো, কিভাবে ফরম নাম্বার দিয়ে অনলাইনে আইডি কার্ড বের করবেন।

ফরম নাম্বার কি?ফরম নাম্বার হলো একটি সংখ্যা, যা আপনার ভোটার নিবন্ধন ফরমের সাথে দেওয়া হয়। এটি আপনার আইডি কার্ডের সাথে সম্পর্কিত সব তথ্য রাখে। আপনি যদি নতুন ভোটার হন, তাহলে আপনার হাতে একটি ভোটার নিবন্ধন স্লিপ থাকবে, যেখানে আপনার ফরম নাম্বার দেওয়া থাকবে। আপনি এই ফরম নাম্বার দিয়ে অনলাইনে আইডি কার্ড বের করতে পারেন।

ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার পদ্ধতি

  • ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
  •  প্রথমে, আপনার মোবাইল থেকে Google Play Store থেকে NID Wallet অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
  •  তারপর, আপনার কম্পিউটার বা অন্য একটি মোবাইল থেকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট [services.nidw.gov.bd](^1^) ভিজিট করুন।
  • এখানে আপনার ফরম নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। রেজিস্ট্রেশন শেষে আপনার একাউন্টে লগ ইন করুন।
  •  এখানে আপনার সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি ৬ ডিজিটের OTP কোড পাঠানো হবে। এই কোডটি দিয়ে ভেরিফাই করুন।
শেষ কথা 

আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনারা যারা আইডি কার্ড করেছেন বা করতে পারেননি বা করতে চাচ্ছেন তারা আশা করি অনেক তথ্য পেয়েছেন।অনেক কিছু জানতে পেরেছেন আশা করি আপনাদের অনেক কাজে আসবে। উপকার হয়েছে যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে। আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url